• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Lord Shiva

উৎসব

ডিহিপাড়ার 'বানেশ্বরের' গাজনের এক অজানা লোমহর্শক কাহিনী

বাঁকুড়া জেলার ডিহিপাড়া গ্রামে মধুকেশ্বর শিবের মূর্তি স্থাপন ও পুজারম্ভ শুরু হয় বাংলার ১২৩০ এ। জানা যায় গাজন ও চড়ক উৎসব তাঁর অনেক আগে থেকেই চালু ছিল এই এলাকায়। এই ব্যাপারে ডিহিপাড়া গ্রামে আদি বাসিন্দা রাখহরি চট্টোপাধ্যায় জনতার কথা কে বলেন, জনশ্রুতি, এখন যে জায়গায় মন্দিরটি অবস্থিত সেখানে আগে ঘন জঙ্গল ছিল। দামোদরের পারে আবস্থিত ডিহিপাড়া গ্রামের সেই জঙ্গলে দামোদরের অপরদিক থেকে একটি গাভীকে প্রায়-ই দামোদর নদ সাঁতরে এপারে জঙ্গলে আসতে দেখা যেত। এবং গাভীটি দামোদর পেরিয়ে এসে ওই ঘন জঙ্গলে প্রবেশ করত।তিনি জানান, স্থানীয়রা বেশ কিছুদিন যাবৎ ওই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখে, কৌতুহলবশত একদিন ওই জঙ্গলে প্রবেশ করে দেখেন, গাভীটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে এবং তাঁর বাঁট থেকে দুধ ঝড়ে পড়ছে একটি নির্দিষ্ট স্থানে। স্থানীয় মানুষজন আরো কৌতুহলে গাভীটিকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে যায়গাটা পরিষ্কার করতেই তারা যে দৃশ্য দেখেন, তা দেখে তারা নির্বাক হয়ে যান। তাঁরা দেখেন, যে যায়গাটিতে ওই গাভীর বাঁট থেকে আঝোর ধারায় দুধ ঝড়ে পড়ছিল, সেখানে একটি প্রস্তরের শিব লিঙ্গ। সেই থেকেই মধুকেশ্বর শিবের পুজা আরম্ভ হয়।রাখহরি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডিহিপাড়া-র গাজন উৎসব চার দিন ধরে হয়, যার সমাপ্তি ঘটে চৈত্র সংক্রান্তিতে। তার আগে ৮ দিন ধরে বাবা মধুকেশ্বরকে পরমান্ন দেওয়া হয়, এবং সেই প্রসাদ সারা গ্রামেই বিতরণ করা হয়। মধুকেশ্বরের গাজনে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন ভক্ত (সন্যাস) হয়। গাজন শুরুর আগেরদিন স্নান করে শুদ্ধ বসনে বাবা মধুকেশ্বরের আটচালায় প্রবেশ করেন ভক্তেরা। তাঁর পরেরদিন বাবা বানেশ্বর কে স্নান করিয়ে পুজাপাঠ করা হয়। কথিত আছে শিব উপাসক বান রাজা দ্বারকাধীশ শ্রীকৃষ্ণ-র সহিত যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মহাদেবের প্রীতি উৎপাদন করে অমরত্ত্ব লাভের আকাঙ্খায় নিজ গাত্র লোহিত দ্বারা মহাদেবকে তুষ্ট করে অভীষ্ট সিদ্ধ করে, সেই কারনে মহাদেব বা শিব কে বানেশ্বর-ও বলা হয়ে থাকে।রাখহরি চট্টোপাধ্যায় জানান এটি (বানেস্বর) সিঁদুর মোচিত লম্বা এক কাঠের পাটা বিশেষ। বংশ পরম্পরায় কর্মকার (কামার) সম্প্রদায়ের একজন একটি লৌহ শলাকা পুজার আগে ওই কাঠের পাটাতনে পোথিত করে দিয়ে যায়। এরপর বানেশ্বরকে সমগ্র গ্রাম ও দেবত্ত স্থানে ঘোরানো হয়। সন্ধ্যা বেলায় সেটিকে একটি প্রতিষ্টিত পুকুরে স্নান ও পুজার্চনা করিয়ে মন্দিরে আনা হয়। এই পুজা অনুষ্ঠানে ভক্ত সন্যাসীদের বিভিন্ন দৈহিক যন্ত্রণা ধর্মের অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়।অনেক ভক্তকেই একটি কাঠের দন্ড থেকে ওপরে পা বেঁধে নিচের দিকে মাথা করে ঝুলতে দেখা যায় এবং তাঁকে অন্যরা দুলতে সাহায্য করেন। এবং নিচের দিকে আগুন জ্বলতেও দেখা যায়। এই অনুষ্ঠানের পর ভক্তরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে স্বপাক হোবৃশী ও ফলাহার করেন। তাঁদের ভোজনের সময় পুরো এলাকা নিস্তব্দ থাকে। খাওয়ার সময় কোনও শ্বব্দ হলে ভক্তদের খাওয়ায় বাধা পরে যাবে এবং তারা সেই খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না।গাজনের দ্বিতীয় দিনটিকে দিন গাজন বলা হয়ে থাকে। সেই দিন বানেস্বরকে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পুজার্চনা করা হয়ে থাকে। সন্ধ্যাবেলা পুর্বদিনের মতই পুকুরে স্নান করিয়ে আগুন জ্বেলে ভক্তরা কাঠের পাটাতনে ঝুলতে থাকেন। এবং রাতে প্রতিষ্টিত পুকুরে চার প্রহরে চারবার পুজা করা হয়। এই পুজার্চনাকে স্থানীয় ভাবে ঘাটজাগানো বলা হয়ে থাকে। এবং ভোর রাতে মা কামাক্ষা কে ঘাটে আনার জন্য ঘাটে বিশেষ পূজার্চনা করে কপোত বলিদান করা হয়ে থাকে।কামাক্ষা দেবীকে মন্দিরে আনাটা ডিহিপাড়া গাজনের একটি বিশেষ আকর্শন। হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমায় এই দৃশ্য দেখার জন্য। পাট ভক্তগন (সন্ন্যাসী) দেবীকে বহন করে মন্দিরে আনেন। ঢাকের ছন্দে নাচতে নাচতে মা আসেন মন্দিরে। একটি মাটির কলসিকে জলে নামিয়ে আড়াই বার ঢেউ দিয়ে যতটা ভরবে সেই ঘটটিকে মাথায় গামছা বেঁধে নিয়ে আসা হয়। গ্রামের আদি বাসিন্দা রাখহরি চট্টোপাধ্যায় জানান, মায়ের এমন-ই কৃপা, নাচলেও একফোঁটা জল ওই মাটির কলসি থেকে বেরিয়ে আসে না। এবং সেই কলসি ভর্তী করার সময় কোনোরূপ ঢাক বাজবে না। জানা যায় ঢাকের ছন্দে ভুল থাকলে মায়ের গতি রুদ্ধ হয়ে যায়। এবং সেই সময় মা কে সামনের দিকে আগিয়ে নিয়ে আসা যায় না। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে ভক্তিমূলক গান বাজিয়ে মাকে তুষ্ট করা হয়। তারপরই পাট ভক্তেরা প্রবল বেগে দৌড়ে মাকে নিয়ে মন্দিরে দিকে নিয়ে চলে আসেন।গাজনের তৃতীয় দিন বানেস্বর বা পাট নিয়ে নদীতে স্নান করতে যাওয়া হয়। সেখানে স্নান করে, পাশের একটি গ্রাম রাঙামাটি তে বিশ্রামালয়ে বিশ্রাম নিয়ে পুজার্চনা হয়। বানেশ্বরের আগমনে সেই যায়গাটিতে ছোট একটি মেলা বসে। রাত বাড়লে পাট মন্দিরে আসে। এবং সেই সময় আতশবাজি প্রদর্শন হয়। মন্দিরে আসার পর দেবতার উদ্দশ্যে হোমাহুতি ও যজ্ঞ করা হয়। হমের প্রথম তিলক মধুকেশ্বর ও দ্বিতীয় তিলক বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তদানীন্তন মহারাজা গোপাল সিংহ কে উৎস্বর্গ করা হয়। এই গোপাল সিংহ-ই ছিলেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। ওই রাতে চার প্রহর মধুকেশ্বর ও মা কামাক্ষা দেবীকে জাগিয়ে রাখার জন্য তাঁদের নামে বারংবার জয়ধ্বনী দেওয়া হয়।গাজনের চতুর্থ দিন চড়ক অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির দিনের শেষে পাট ভক্তরা পুকুরে স্নান করে মন্দির প্রাঙ্গণে নৃত্য করেন। চড়ক তলায় পুজা উপলক্ষে মনোহারি দ্রব্য, জিলাবি ও নানাবিধ খাওয়ার দোকানের পসরা নিয়ে মেলা বসে। পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষে গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রামবাসীদের আত্মীয় স্বজন নিয়ে আন্নুকুটে অংশগ্রহন করেন। প্রায় ৪ হাজারের আশপাশ মানুষ এই অন্নকূটে আসেন। রাতে গাজনের শেষে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মেনেই রাতে যাত্রাপালা, লোকগান, হরিনাম সংকীর্তন-র আয়োজন করা হয়। প্রত্যেক বছরই বহু মানুষের সমাগম হয় এই পুজতে। দূর দুরান্ত থেকে মানুষের অনেকেরই ধারনা স্বয়ম্ভু বানেশ্বরের পুজা অর্চনা করলে সংসারের মঙ্গল সাধন হবে।

এপ্রিল ১৩, ২০২৪
রাজ্য

উধাও খোদ মহাদেব! বর্ধমানে চুরি গেলো শিবলিঙ্গ এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

শিবলিঙ্গ চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহিতে। শুক্রবার সকালে মাধবডিহির নরত্তমবাটি গ্রামের বাসিন্দারা দেখেন শিবলিঙ্গ নেই। কিভাবে শিবলিঙ্গটি উধাও হল তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। ধর্মীয় স্থান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে একটি শিব ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত ছিল। কথিত আছে এখানকার দেবাদিদেব মহাদেব নাকি কোন মন্দিরে নয় বরং খোলা জায়গাতেই থাকতে পছন্দ করেন। রাতের অন্ধকারে কোন ভাবে সেই শিবলিঙ্গের অর্ধেক অংশ উধাও হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিভাবে সেই শিবলিঙ্গটি উধাও হয়ে গেল সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছেন তারা। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষরা খুবই দুঃখিত। যেহেতু এই শিব ঠাকুরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাল্প কাহিনী রয়েছে তাই এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না তারা। শিবলিঙ্গটিকে খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে মাধবডিহি থানার পুলিশ।সেবাইত শান্তিনাথ ব্যানার্জী বলেন, উপরের অংশ নিয়ে গেছে দুস্কৃতিরা।কিন্তু বাবাকে অর্থাৎ শান্তিনাথকে নিয়ে যেতে পারে নি।কারণ বাবা মহাদেব এখানে স্বপ্নাদেশ দিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সুতরাং বানার আসল রূপ এখানে আছে।গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ বলেন, শিবলিঙ্গটি কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে।স্থানীয় বাসিন্দা জয়রাম চক্রবর্তী বলেন, এটি কষ্টিক পাথরের শিবলিঙ্গ। হাজার বছরের পুরনো, বহু মূল্য। তার ধারণা কোন তান্ত্রিকের কাজ হতে পারে।

অক্টোবর ১৪, ২০২২
রাজ্য

শিবের মাহাত্মের কথা শুনে শিব মন্দিরে গিয়ে পুজো সারলেন খান সাহেব

পুরোহিত ভাতা পাওয়া ব্রাক্ষ্মণদের সঙ্গে বৈঠক কারার সময়ে খান সাহেব জেনেছিলেন দেবাদিদেব মহাদেবের মাহাত্ম্যের কথা। পুজারী ব্রাহ্মণদের কাছে তিনি এও জেনেছিলেন মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব শিবের মহারাত্রি। তার পরেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ঠিক করে নেন এই বছরের শিবরাত্রির দিনে তিনি দেবাদিদেব শিবের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেবেন। সেই মত মঙ্গলবার সাত সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে তিনি সোজা চলে যান জামালপুর ব্লকের জৌগ্রামে থাকা সুপ্রাচীন জলেশ্বর শিব মন্দিরে।মন্দিরের পুজারি ব্রাহ্মণের করা মন্ত্রোচ্চারণ শুনে নিজের মুখে তা বলে খান সাহেব শিবের কাছে পূজার্ঘ্য নিবেদন করেন। হাতজোড় করে দেবাদিদেবকে প্রণাম জানিয়ে তিনি আশীর্বাদ প্রার্থনাও করলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান মেহেমুদ খানের এমন শিব ভক্তি দেখে এদিন জলেশ্বর মন্দির চত্ত্বরে থাকা অনেক শিব ভক্তও থমকে দাঁড়িয়ে যান। হঠাৎ করে দেবাদিদেব শিবের দ্বারস্থ হওয়ার কি কারণ তার ব্যখ্যা দিতে কোন কুণ্ঠা বোধ করে নি মেহেমুদ খান। তিনি বলেন, এই জগৎ চালাচ্ছেন উপরওয়ালা।কেউ তাঁকে বলেন আল্লা, আবার কেউ বলেন ঈশ্বর। তাঁর করুণা ছাড়া এই জগৎতে কোন কিছুই সম্ভব নয়। মেহেমুদ খান জানান, রাজ্য সরকারের পুরোহিত ভাতা পাওয়া জামালপুরের ব্রাহ্মণদের সঙ্গে একদিন তিনি একটি বৈঠকে বসেছিলেন। তখন এক প্রবীন ব্রাহ্মণ পুজারির কাছে হিন্দু ধর্মের সর্বশক্তিমান দেবতা শিবের মাহাত্ম্যের কথা তিনি শুনেছিলেন। তারপরেই দেবতা শিবের চরণে পুজো দেওয়ার ব্যপারে মনস্থির করেন। সেই মতই শিবরাত্রির এই দিনে তিনি জলেশ্বর শিব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে দেবতার আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন বলে জানান। পাশাপাশি মেহেমুদ খান এও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে এই বাংলার সর্ব ধর্ম সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। সম্প্রীতি বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীও সকলকে এক হয়ে থাকার বার্তা দেন। তাঁরই দলের একজন সেনাপতি হয়ে তিনিও মনে করেন সব ধর্মকে শ্রদ্ধা জানানোটাই প্রকৃত ধার্মিকের কাজ। সেই বিশ্বাস ও ভক্তিতে ভর করেই এদিন জলেশ্বর শিব মন্দিরে পৌছে ভক্তি ভরে পুজো দিয়েছেন বলে খান সাহেব জানিয়ে দেন।

মার্চ ০১, ২০২২
নিবন্ধ

আটশ' শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত কৌরবপক্ষের তেইশতম প্রজন্ম বর্মন বংশের রাজা জল্পেশের শিবমন্দির

আধমাইলটাক লম্বা এক পায়ে চলা পথ-- ধুলায় ধুসর, ভিড়ে ভিড়াক্কার! যাত্রীদের ক্যাঁও ম্যাঁও... ফেরিওয়ালাদের হুল্লোড়... বাচ্চাকাচ্চাদের চ্যাঁ ভ্যাঁ... বাঁশির প্যাঁ পো... মাইকের অমায়িক নির্ঘোষে জয় জয় শিবশঙ্কর কাঁটা লাগে না কঙ্কর... থেকে থেকেই আশেপাশে পিলে চমকানো ব্যোম ভোলে... তবে সব কিছু ছাপিয়ে যেত পথের দুপাশে চট-বস্তা-খড়ের ভুমিশয্যায় সারি সারি বিকলাঙ্গ ভিখারীর আর্তনাদ!বীভৎস ঘা... খসে পড়া আঙ্গুল বা হাত পা... বিকট অঙ্গবিকৃতি... সেই সব ঘা বা হাত পায়ে অনেক সময় লোহার কাঁটা বা বাঁশের কঞ্চি ঢোকানো-- মা বলতো ছোটবেলায় ছেলেধরারা ওদের ধরে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে, কেটে-পচিয়ে ভিক্ষে করাচ্ছে! চোখে দেখে সহ্য করতে পারতাম না সেই শিশুবয়সে; ফোঁপাতে ফোঁপাতে, কখনো বা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের হাত ধরে কোনো মতে পেরিয়ে যেতাম সেই পথটুকু!আজ বুঝি, ওরা বেশির ভাগই ছিল কুষ্ঠরোগী-- চিকিৎসাহীণতায় অঙ্গবিকৃতির শিকার! রোগক্লিষ্ট অঙ্গের স্নায়ু শুকিয়ে গিয়ে ব্যথার অনুভূতি চলে যেত, ফলে মানুষের নজর টানতে কাঁটা ঢুকিয়ে বা দগদগে ঘা নিয়ে শুয়ে বসে থাকতে হয়ত খুব বেশি কষ্ট হত না তাদের। তবু জল্পেশ মন্দিরের মহাশিবরাত্রির মেলায় সেই সব ভিখারীরা আমার শৈশবস্মৃতির চিরকালীন দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে গেছে।জল্পেশের শিবমন্দিরজল্পেশ মন্দির। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত এই শিবমন্দিরের ইতিহাস আজকের নয়। কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন কৌরবপক্ষের মহারথী ভগদত্ত। তাঁর পরের তেইশ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্মন বংশের শেষ রাজা জল্পেশ নাকি এই মন্দির রচেন আনুমানিক আটশ শতাব্দীতে। কয়েক শতক পর বখতিয়ার খিলজি-র হাতে ধ্বংস হয়ে যায় সুপ্রাচীন এই শৈবতীর্থ। দ্বাদশ শতাব্দীতে ভুটানের এক রাজা নতুন করে একে গড়ে তুললেও পরে আবার জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায় সব কিছু। ১৫২৪ খ্রীষ্টাব্দে কোচবিহার রাজবংশের বিশ্ব সিংহ আবার গড়ে তোলেন এই দেবস্থান। ১৫৬৩-তে তাঁর ছেলে মহারাজা নারায়ণ, ও ১৬৬৩-তে রাজা প্রাণ নারায়ণ আরো দুবার এর সংস্কার করেন। কোচবিহার রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় জল্পেশ মন্দির ফিরে পায় পুরনো গৌরব। কিন্তু গোল বাধলো আবার। রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ-এর অভিষেকের সময় রাজছত্র ধরতে অস্বীকার করেন অধীনস্থ বৈকুন্ঠপুর রাজ্যের রাজা মহীদেব রায়্কত, এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তখন থেকে স্থানীয় বৈকুন্ঠপুর-এর রায়্কত-রাই মন্দিরের দেখভাল করতেন। এই বৈকুন্ঠপুর রাজ্যেরই অন্তর্গত ছিল পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা জলপাইগুড়ি শহর ও আশপাশের এলাকা। জোরালো ভূমিকম্পে মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১৮৯৯ সালে রাজা যোগেন্দ্রদেব রায়কতের মহিষী রাণী জগদীশ্বরী দেবী পুনর্নির্মাণ করান বর্তমান মন্দিরটি।জলপাইগুড়ি শহর থেকে তেইশ কি.মি., ময়নাগুড়ি বাইপাস মোড় থেকে মাত্র ছয় কি.মি. দুরে.. জল্পেশ্বর শিবমন্দিরের বহিরঙ্গ রূপটি সাদামাটা, অন্যান্য হিন্দুমন্দিরের থেকে কিছু আলাদা; খানিকটা যেন ইসলামী আদল আছে। ১২৬ ফুট উঁচু, ও ১২০ ফুট চওড়া ধবধবে সাদা মন্দিরের মাথায় বিশেষত্বহীন মূল গম্বুজটিকে ঘিরে চারটি ছোট গম্বুজ। ভিতরে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে গর্ভগৃহে; জলপূর্ণ কুন্ডের মাঝে বিরাজমান অনাদি শিবলিঙ্গ। জুন থেকে অক্টোবর-- ঘোর বর্ষায় তা সম্পূর্ণ ডুবে যায়। বছরে তিনবার উৎসব জল্পেশ-এ-- বৈশাখী, শ্রাবনী, আর মহা-শিবরাত্রি মেলা। সারা বছর ধু ধু মাঠে এলোমেলো বইত উদাসী হাওয়া; পাশ দিয়ে তিরতিরিয়ে বয়ে চলা জরদা নদীর বালি উড়তো হিমালয় ছুঁয়ে আসা উত্তুরে বাতাসে। আর শিবরাত্রির সময় লাখ বারো ভক্তের সমাগমে রমরমিয়ে উঠতো মাইলের পর মাইল ফাঁকা জমি জুড়ে জমে ওঠা মেলা। পনেরো কি.মি. দুরের তিস্তা নদী থেকে জলপূর্ণ ঘট বয়ে এনে অনাদি শিবলিঙ্গের মাথায় ঢেলে দিতেন ভক্তরা। আমার শৈশবে এক পক্ষকাল ধরে চলত সে মেলা। কী না পাওয়া যেত সেখানে! স্বাধীনতার আগে নাকি হাতিও কেনাবেচা হতো; পাশের রাজ্যগুলি, এমনকি নেপাল-ভুটান-পূর্ব বাংলা থেকেও মানুষ আসতেন হাতি কিনতে! এই কদিন বেশিরভাগ বাস নিজের রুট ছেড়ে দিয়ে সামনে বোর্ড ঝোলাতো জল্পেশ মেলা । আন্তর্জাতিক সীমান্তও এসময় হয়ে যেত শিথিল; ভক্তরা আসতেন বাংলাদেশ থেকেও। প্রতি বছর উপোস করে জল্পেশ্বর-র মাথায় জল ঢালতে যেত মা, আর খুব ছোট থেকেই সঙ্গী হতাম আমি। সেই মর্মবিদারী ভিক্ষুককুলের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা ছিল বিভীষিকা! ভিড়ের ঠেলায় ছুটতাম ছোটো ছোটো পায়ে... জরদা নদীর কাঠের পুল পেরিয়ে আরো কিছুদুর... মন্দিরের গেটের সামনে দুই হাতির মূর্তি... কারো হাত ধরে ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম বাইরে... ভিড়ে ঠাসা সিঁড়ি দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে নেমে যেত মা... শিবলিঙ্গে জল ঢেলে কোনমতে হাত বাড়িয়ে একটু স্পর্শ করা... একবার মনে আছে আস্ত একটা তাজা কলা মা নিয়ে এসেছিল ফুল পাতার স্তূপ হাতড়ে!ভিখারীদের সেই ভয়ানক দৃশ্য এড়াবার উপায় বার ফেলেছিলাম পরের দিকে। মায়ের হাত শক্ত করে ধরে চোখদুটো আধবোজা করে এদিক ওদিক না তাকিয়ে পেরিয়ে যেতাম রাস্তাটুকু। শেষবার গেছিলাম বোধ হয় সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময়। চলতে চলতে চট-বাঁশ-ত্রিপলের এক ছাউনি দেখেছিলাম পথের ধারে, বোধ হয় পুতুলনাচ বা জাদুর খেলা বা ওই জাতীয় কিছুর আয়োজন। কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছিল না সেখানে। ছাউনির সামনে লম্বা বাঁশের মাথায় বাঁধা ছিল মাইক। গরম হাওয়া বইছিল এলোমেলো। তপ্ত শেষ বসন্তে মেলার ভিড়ে নিঃসঙ্গ এক মাইকের নিশ্চুপ প্রতীক্ষা চার দশক পেরিয়ে, কেন জানি না, মনে জেগে আছে আজো!ডঃ সুজন সরকার বর্ধমান।

মার্চ ০১, ২০২২
ভ্রমণ

শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলে

শিব ঠাকুরের একটা সরল, সাধাসিধে ভোলাভালা ইমেজ আছে, তিনি ভোলানাথ। জাঁকজমক, আড়ম্বরের বেশী দরকার হয় না, অল্পেই তিনি তুষ্ট তাই তিনি আশুতোষ। কোনো অহঙ্কারের লেশ মাত্র নেই, অথচ তিনিই সব। ছোটবেলা থেকে তাঁর অনেক গল্প - কাহিনী মায়ের কাছে শোনা। সচরাচর রাগ করেন না, কিন্তু রেগে গেলে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন, নটরাজ রূপে। ২০১৩ সালে কেদারনাথ মহাপ্রলয়ের সময়ে প্রকৃতির যে প্রলয়ঙ্করী রূপ দেখে আমরা শিউরে উঠেছিলাম, সেও ছিল বাবার রুদ্র রূপের প্রকাশ। আসলে ঈশ্বর আর প্রকৃতি তো আলাদা নয়, প্রকৃতির মধ্যেই তিনি বিরাজ করেন। পৌরাণিক কাহিনী তে আমরা জানি দক্ষ যজ্ঞের স্থলে সতীর দেহ ত্যাগের পর শিবের তাণ্ডব এবং তারপর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হওয়া, যা থেকে ৫১টি সতী পিঠের উৎপত্তি। পরবর্তী কালে সতী জন্ম নেন হিমালয় কন্যা পার্বতী রূপে। শিব কে পতি হিসাবে পাবার জন্য তিনি বহু বছর কঠোর তপস্যা করেন। আর পার্বতী তো আমাদের ঘরের মেয়ে। উমা, গৌরী, দুর্গা কত আদরের নামে আমরা তাকে ডাকি। কৈলাস থেকে প্রতি বছর তিনি আমাদের কাছে ছেলে মেয়ে সহ আসেন। কেদারনাথ থেকে ফেরার সময় পৌঁছে গিয়াছিলাম ত্রিয়ুগীনারায়ণ, কথিত আছে যেখানে রাজনন্দিনী পার্বতী ও শিবের স্বর্গীয় বিবাহ সম্পন্ন হয়।ব্রহ্ম শিলাপার্বতীর তপস্যার স্থানটি ছিল বর্তমান গৌরীকুণ্ড। তপস্যায় সন্তুষ্ট মহাদেব পার্বতীর বিবাহ প্রস্তাব মঞ্জুর করেন গুপ্তকাশী তে। কেদারনাথ যাওয়া - আসার পথে শোন প্রয়াগ থেকে ১২ কিমি দূরে ত্রিয়ুগীনারায়ণ নামক একটি ছোট্ট পাহাড়ী গ্রাম। শোনপ্রয়াগ থেকে ত্রিয়ুগীনারায়ণ পর্যন্ত পুরো পথটাই চিরপাইনে ঢাকা, বেশ মনোমুগ্ধকর।গঠনশৈলী র দিক থেকে কেদারনাথ মন্দিরের মত একটি ছোট মন্দির আছে। মনে করা হয় এই মন্দিরের বর্তমান রূপ আদি শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত। ভিতরে তিনটি যুগ (সত্য, ত্রেতা এবং দ্বাপর) ধরে প্রজ্জ্বলিত অখণ্ড অগ্নিশিখা, যা জ্বালানো হয়ে ছিল সেই বিবাহের সময়, তাই এটি ত্রিযুগী। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা নারায়ণ, শিব-পার্বতীর বিবাহে তিনি ছিলেন পার্বতীর ভাই এর ভূমিকায়। এই দুটি কারণে মন্দিরের নাম ত্রিয়ুগীনারায়ণ। এই মন্দির অখণ্ড ধুনি মন্দির নামেও খ্যাত। মন্দিরের সীমানায় চারটি কুণ্ড আছে। রুদ্র কুণ্ড স্নানের জন্য, বিষ্ণু কুণ্ড পরিষ্কারের জন্য, ব্রহ্ম কুণ্ড পানের জন্য, সরস্বতী কুণ্ড পূর্বপুরুষ দের জলদানের জন্য নির্দিষ্ট। এই বিবাহে পৌরহিত্য করেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। ব্রহ্ম শিলা নামক এক শিলা খন্ড আছে, যা বিবাহ স্থলটিকে নির্দেশ করে। মন্দিরের ভিতরে রুপোর বিষ্ণু, লক্ষী ও সরস্বতীর মূর্তি আছে। এই মন্দিরে পূজো দেবার সময় দর্শনার্থীরা কাঠ নিয়ে আগুনে অর্পণ করে, তার ছাই নিয়ে আসেন আশীর্বাদ হিসাবে। এটি বৈবাহিক সম্পর্কের শান্তি নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। পূজার জিনিসপত্র নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার পর, পুজারিজী ব্রহ্ম শিলা র চারপাশে ঘুরিয়ে তারপর পূজো নিবেদন করলেন। এটাই প্রচলিত রীতি। তাঁর সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথোপকথনে জানতে পারলাম পার্বতীর তপস্যা স্থল থেকে শুরু করে এই মন্দিরের সমস্ত কথা। তিনি জানালেন বহু প্রাচীন কাল থেকেই অনেক পরিব্রাজক এই মন্দিরে এসেছেন। উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এখানে এসেছিলেন, তাঁর রচিত হিমালয়ের পথে পথে গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। শিব-পার্বতীর বিবাহে-র স্থান হিসাবে খুব জনপ্রিয় ও পবিত্র এই জায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রথিতযশা শিল্পপতি ধিরুভাই আম্বানি ও কোকিলাবেন সহ আরো অনেক বিখ্যাত মানুষ। এখানে বিবাহ অনুষ্টানের জন্য আনেক আগে থেকে মন্দির কমিটির কাছে বুকিং করে রাখতে হয়। মন্দির সহ চারপাশের পরিবেশ অদ্ভুত শান্ত, নিরিবিলি। এখান থেকে গাড়য়াল হিমালযের বিখ্যাত গিরিশৃঙ্গ গুলি দৃশ্যমান। এখানকার মৃদুমন্দ বাতাস আজও চুপি চুপি সেই সুদূর অতীতের গল্প গাথা ই শুনিয়ে যায়। কেদারনাথ যাওয়া বা আসার পথে আধ বেলা হাতে থাকলে এই সুন্দর মন্দির ও স্বর্গীয় বিবাহের স্থানটি ঘুরে রোমাঞ্চকর অনুভূতির স্বাদ নিতে পারেন।ডঃ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়)কিভাবে যাবেনহরিদ্বার থেকে শোন প্রয়াগ ২৩১ কিমি। শোন প্রয়াগ থেকে ১২ কিমি দূরে ত্রিয়ুগীনারায়ণ মন্দির। কোথায় থাকবেনশোন প্রয়াগ এ থাকার জন্য অনেক লজ ও হোটেল আছে। ত্রিয়ুগীনারায়ণ এ GMVN এর হোটেল আছে।

অক্টোবর ২৯, ২০২০

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal